মেঘের আনন্দ

মেঘের আনন্দ

JF Ivy


মেঘ হয়ে জন্মাবার অনেক আনন্দ আছে

যদি কেউ মনখারাপ করে দেয়, লুকিয়ে কাঁদলেও

সে ঝর্না সবাইকে ধুয়ে-মুছে বিশুদ্ধ করে দেয়।

পরের জন্মে আমাকে মেঘের দেশের বাসিন্দা করো সৃষ্টিকর্তা!

 

মন যদি খারাপ হয় তবে আমরা বলি মনে মেঘ জমেছে,

চাঁদের মত উচ্ছল মুখের কোনে মলিনতা দেখা দিলেও তো

প্রশ্ন করি- কেন চাঁদ মুখর মেখ জমেছে?

মেঘ কি তবে সত্যি-ই মলিনতার সজ্ঞা?

 

প্রখর তপ্ততায় পুড়ে যাওয়া দুপুরে মেঘ যেন এক নতুন জীবনের পরশ

ঘনকাল রূপকে যত গুরু গম্ভীর বলে ভাবি আমি মাটিতে দাঁড়িয়ে,

উড়োযান যখন নিয়ে যায় ওদের ওপরে, দেখি মেঘেরা সব

দলবেঁধে এক হয়ে করছে খেলা, ভূমি থেকে মাত্র মিছু ওপরে।

 

মেঘ হয়ে জন্মানো তাই সবটা-ই আনন্দের,

ভাবুকের ভাবনা, আঁকিয়েদের আঁকা, মেঘেদের হাসায় কেবল

আপন খেয়ালে কয়-ছায়া পেতে, বৃষ্টির পরশ পেতো

আমাদেরই তখন করো কতো শত বন্দনা!

 

অঝরে ঝরতে অথবা তুলোট মেঘের সখি হয়ে দেশান্তরি হতে

ওদের যে লাগেনা পাসপোর্ট, লাগেনা ইনভিটেশন ছাড়।

যদি কখনো মুখে আমার ভর করে মেঘের ছায়া,

আমি হবো এক মুহূর্তের জন্য তুলোট্মেঘের সখি একজনা।

 

পরের জন্মে আমি তাই মেঘ হয়েই জন্মাতে চাই।

আরাধ্য হয়েই বাস করবো নিষ্প্রাণ মানুষের মাথার ওপরে

পাবেনা নাগাল, রইবেনা সীমানা

বৃষ্টির কণার রূপে আসবে ফিরে সতেজ করার উস্ত হয়ে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *